৬০ হাজার কর্মসংস্থানের ঘোষণা রাজ্য সরকারের। WB Govt. Announcement For Job ।

 পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক যুবতীদের জন্য ফের নয়া সুসংবাদ। রাজ্যে বেকারত্ব কমাতে ফের নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, গোটা রাজ্যে মোট প্রায় 60 হাজার শূন্যপদে গোটা রাজ্যের জেলায় জেলায় থেকে এই পদ গুলি পূরণ হবে। রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিল্প ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষিত বেকার যুব সমাজকে কর্মমুখী করে তুলতে তৎপর পশ্চিমবঙ্গ সরকার । আগামী ৩ বছরে মোট প্রায় ১ লক্ষ প্রার্থীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে কাজের দক্ষ শ্রমিক হিসেবে গড়ে তুলতে ইচ্ছুক রাজ্য সরকার । আর প্রায় ১ লক্ষের মধ্যে ৬০ হাজার দক্ষ শ্রমিককে বিভিন্ন দপ্তরে কাজের সুযোগ করে দেবে রাজ্য সরকার ।

এদিকে এবিষয়ে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ ( CII ) ও রাজ্য শ্রমদপ্তর চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছে । গোটা দেশে প্রায় ৩ লক্ষ ছোট বড় সংস্থা বর্তমানে সিআইআই(CII) এর সদস্য । এইসব সংস্থা গুলিতে বছরে নানান পদে লোক দরকার হয় । এর এইসব কাজে লোক নিয়োগ করা হয় সিআইআই(CII) এর মাধ্যমে ।

সেই চাহিদা মেটাতে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ(CII) বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বেকার ও শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মমুখী করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করছে ।এদিকে ৪ মাসে আগে নবান্নর কাছেও তারা এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠায় । জানা গিয়েছে , রাজ্যে মোট ১৫ টি এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অফিসে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ । আগামী ৩ বছরে ১৫ , ২০ ও ২৫ হাজার অর্থাৎ ৬০ হাজার বেকার প্রার্থীকে চাকরির দরজায় পৌঁছে দেবে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ ( CII ) । আর এতেই অনেকখানি আশার আলো দেখতে পারে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীরা ।

 

——————————————————————————————

আর মাত্র একটা মাস, তারপরেই দুর্গা পূজো। বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে কথা।
খাওয়া দাওয়া , জামাকাপড়, ঘুরতে যাওয়া খরচ অনেক। তার ওপর বাজার যা
অগ্নিমুল্য তাতে আনন্দ উৎসব  তো দুরস্ত ভালো করে সংসার চালানোই দায়। কিন্তু
তার জন্য আপনার চিন্তা কি। চিন্তা করবে তো সরকার। ঠিক যেমন রাজ্যের
মানুষের সার্বিক ও আর্থ সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায়
একাধিক জনমুখি প্রকল্প চালু করেছে এ রাজ্যের সরকার। তবে জনমুখি প্রকল্পের 
তালিকাটা বেশ লম্বা। প্রায় ৭০ টির ওপর। এর মধ্যে একাধিক প্রকল্পে ব্যাংক
অ্যাকাউন্টে সরাসরি মাসকাবারি নগদ টাকার জোগান পান প্রকল্পের আওতায় থাকা
রাজ্যের সব কয়টি জেলার সাধারণ মানুষ। আসলে এই দুর্মূল্যের বাজারে হাতে গরম
যা পাওয়া যায় আর কি।

এবার
দশ টি প্রকল্পের অধীনে চলতি আগস্ট মাসেই নগদ টাকা দেবে সরকার। সম্প্রতি
রাজ্যের অর্থ দফতর সুত্রে খবর এমনটাই। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে আগস্ট মাসেই
আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে সরকারি প্রকল্পের টাকা। তাহলে এবার
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্য সরকারের কোন ১০ টি প্রকল্পে টাকা দেওয়া হবে
চলতি মাসে। বলা যায় আপনিও তো  থাকতে পারেন। তাই ভালো করে খুঁটিয়ে পড়ে নিন
নিম্ন লিখিত প্রতিবেদনটি।

১. স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ—
রাজ্যের
মেধাবী ছাত্র- ছাত্রীদের বিশেষ করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর
পেলেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সকল ছাত্র ছাত্রী। এবার সরাসরি আবেদনকারী
ছাত্র- ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে নগদ টাকা।

২.জাগো প্রকল্প—
রাজ্যের
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পুরুষ এবং মহিলারা এই প্রকল্পের আওতায় নগদ ৫০০০ টাকা
অনুদান হিসাবে পেয়ে থাকেন। এ মাসে তাদের জন্যেও রয়েছে সুখবর।

৩. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার—

রাজ্যের
গৃহস্থ বধু অর্থাৎ ঘরের বউ’দের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে জন্য
গত কয়েকমাস আগে এই প্রকল্পে নগদ ৫০০- ১০০০ টাকা চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মাসে হাত গরম হবে ঘরের বউ দেরও।

৪. কৃষকদের বার্ধক্য ভাতা—
রাজ্যের
কৃষক ভাইদের মধ্যে যে সকল কৃষক বার্ধক্যজনিত কারণে বা বয়স ভারে চাশের মাঠে
যেতে পারেন না মূলত তাদের জন্যই এই প্রকল্পের আওতায় মাসে নগদ ১০০০ টাকা
ভাতা দেয় রাজ্য সরকার। এ মাসে তারাও পাবেন তাদের প্রাপ্য সুবিধার টাকা।

৫. কৃষকবন্ধু প্রকল্প—
এই
প্রকল্পের সুবিধাটি পুরোমাত্রায় ভোগ করেন রাজ্যের চাষি ভাইরা। প্রকল্পের
আওতায় কৃষি কাজে নিযুক্ত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কৃষকদের চাশের সুবিধার্থে নগদ
২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। এ মাসে তাদের হাতেও পরবে টাকা।

৬. বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা—
এই
প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সবকতি জেলার বার্ধক্য, বিধবা অর্থাৎ স্বামীহারা
এবং প্রতিবন্ধী মানুষ দের মাসে নগদ ১০০০ টাকা ভাতা হিসাবে প্রদান করা হয়। এ
মাস অর্থাৎ চলতি আগস্ট মাসে টাকা পেয়ে মুখে চওড়া হাসি ফুটবে তাদেরও।
সবশেষে ‘জয় জোহার’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের পিছিয়ে পড়া
সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষকে মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে । তবে
এই প্রকল্পের আওতায় মূলত ৬০ বছরের বেসি বয়সের মানুষকেই সাহাজ্য করা হয়ে
থাকে। এ মাসে তারাও তাদেরকেও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করবে না রাজ্যের মা
মাটি মানুষের সরকার।  

এ ছাড়াও ‘লোকো প্রসার প্রকল্পে’ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শিল্পীরা যেমন তাদের নির্দিষ্ট প্রাপ্য ভাতার টাকা এ মাসে পাবেনই তেমনি
রাজ্য
সরকারের সবচাইতে জনপ্রিয় প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী এবং রুপশ্রী’ তে নথিভুক্ত
যুবক- যুবতীরা এ মাসেই তাদের প্রাপ্য টাকা পাবেন পাশাপাশি রাজ্য সরকার
দ্বারা চালুকরা রাজ্যের তপশীলি জাতী এবং উপজাতী ও ওবিসি ক্যাটাগরির
ছাত্র-ছাত্রীরা যে ওয়েসিস বৃত্তি পান তারাও এ মাসে তাদের টাকা ব্যাংক
অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন নিশ্চিত।

 

Leave a Comment