প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী আসনে বসার পর বহু প্রকল্প উদ্ভাবন করেছেন যার মাধ্যমে ভারতবাসীরা বেশ উপকৃত হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি প্রকল্পের নাম হল ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনা। এই ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনার মাধ্যমে কন্যা সন্তানদের জন্য বেশ মোটা টাকা অর্থ অনুদান দেওয়া হয়। এবার জেনে নেওয়া যাক যে কিভাবে এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে? কত টাকা পর্যন্ত এই প্রকল্পের অনুদান পাওয়া যায়? প্রভৃতি প্রশ্নের উত্তর।Central Government Scheme
ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনায় কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
ভাগ্যলক্ষী যোজনার মাধ্যমে কন্যা সন্তান জন্মানোর সময় সরকার কন্যার পরিবারকে পঞ্চাশ হাজার টাকার বন্ড দিয়ে থাকে। এরপর কন্যার যখন ২১ বছর বয়স হয় তখন ওই বন্ডটি দুই লক্ষ টাকার যোগ্য হয়। কন্যার ২১ বছর বয়স হলে কন্যা সন্তানের মা ৫১ হাজার টাকা সরকারের তরফ থেকে পেয়ে থাকেন। আবার মেয়েটি বিভিন্ন ক্লাসে যখন পড়াশোনা শুরু করে তখন সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহায়তায় পায়।
আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হল-
১)ষষ্ঠ শ্রেণীতে প্রায় তিন হাজার টাকা
২)অষ্টম শ্রেণীতে প্রায় 5000 টাকা
৩)দশম শ্রেণীতে প্রায় সাত হাজার টাকা
৪)দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রায় আট হাজার টাকা।
কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন?
১) একটি পরিবারের দুইজন মেয়ে এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবে।
২) যে পরিবারের মাসিক আয় কুড়ি হাজার টাকার কম তারাই কেবল এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন।
৩) কন্যা সন্তান জন্মানোর ছয় মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের জন্য তার পরিবার আবেদন জানাতে পারবেন।
৪) এই প্রকল্প চালু করতে গেলে কন্যা সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
৫) এই প্রকল্প যেহেতু উত্তরপ্রদেশেই চালু করা হয়েছে তাই উপভোক্তাদের অবশ্যই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হতে হবে।
ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনায় কীভাবে আবেদন করবেন?
১) ভাগ্যলক্ষী যোজনায় আবেদন করতে গেলে প্রথমে এই প্রকল্পের ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২) ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে নিউ রেজিস্ট্রেশন অপশনে গিয়ে ভাগ্যলক্ষ্মী প্রকল্পের জন্য ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।
৩) ফর্মটি নির্ভুলভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথিগুলি স্ক্যান করে আপলোড করার পরে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনার জন্য আবেদন পত্র জমা দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনার ফর্ম পূরণ করার সময় যে ডকুমেন্টসগুলির প্রয়োজন হবে সেগুলো হল
১) কন্যার পিতামাতার আধার কার্ড।
২) মেয়ের আধার কার্ড ও বার্থ সার্টফিকেট।
৩) বসবাসের শংসাপত্র।
৪) পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র।
৫) পিতামাতার জাতিগত শংসাপত্র।
৬) পিতা/মাতার চাকরির শংসাপত্র।
৭) কন্যার নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ।
পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বর্তমান সময়ে চাকরির বড় অভাব দেখা গেছে। বহু শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জনের পর যোগ্য চাকরি খুঁজে পাচ্ছে না। সেই জন্য প্রতিটি চাকরির ক্ষেত্রে শূন্য পদের থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়ে বহুগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকলেই চায় কোনো না কোনো চাকরি করে স্বনির্ভর হতে। এবার এই সকল প্রার্থীদের মুখে হাঁসি ফোটাতে একটি বড় খবর সামনে এসেছে।WB Health Job Recruitment
রাজ্যের এক জেলার ডিস্ট্রিক্ট হেলথ এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সমিতির তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ওই জেলার হেলথ ডিপার্টমেন্টের NHM /XVFC পোগ্রামে বেশ কিছু কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। কোন কোন ক্যাটাগরিতে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে? আবেদন পদ্ধতি কি? ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর পেতে, আর্টিকেলটি পড়ুন।WB Health Job Recruitment
পদের নাম- ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, কাউন্সিলর, ল্যাবরেটরি ও অ্যাসিস্ট্যান্ট, সেনেটারী অ্যাসিস্ট্যান্ট, ল্যাব টেকনিশিয়ান প্রভৃতি পদে নিয়োগ করতে চলেছে ডিস্ট্রিক্ট হেলথ এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সমিতি পূর্ব মেদনীপুর।
শূন্য পদের সংখ্যা– সংশ্লিষ্ট জেলার হেলথ ডিপার্টমেন্টে বিভিন্ন কর্মী নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তিটি আমরা দেখতে পাচ্ছি সেখানে শূন্য পদের সংখ্যা রয়েছে ৮টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা– ১)বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বলা যেতে পারে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পদের জন্য বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। তবে মাধ্যমিক পাশ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করা সকল প্রার্থীরাই এই পদের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
২) প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকা বাঞ্ছনীয়।
বয়স– হেলথের এই চাকরির জন্য প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ১৯ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
আবেদন পদ্ধতি- সংশ্লিষ্ট নিয়োগের বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য যে প্রার্থীরা আবেদন জানাবেন তারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে কেবলমাত্র গুগল ফর্ম এর দ্বারা আবেদন পত্র জমা নেওয়া হবে। গুগলের ওই নির্দিষ্ট ফার্মে নিজের যাবতীয় তথ্য নির্ভুলভাবে এন্ট্রি করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
নিয়োগের সংস্থা : পূর্ব মেদিনীপুরের হেলথ ডিপার্টমেন্টের NHM /XVFC পোগ্রামের অধীনে নিয়োগ করা হচ্ছে।
আবেদনের শেষ সময়সীমা- প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে ৫ জুলাই ২০২৪ বিকেল ৫টার মধ্যে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস- এপ্লিকেশন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের যে ডকুমেন্টসগুলি দিতে হবে সেগুলি হল-
১) প্রার্থীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
২) ভোটার কার্ড বা আধার কার্ডের কপি।
৩) এডুকেশন কোয়ালিফিকেশনের সমস্ত রেজাল্ট এবং সার্টিফিকেট এর কপি।
৪) কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট এর কপি।
৫) যারা সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থী তাদের কাস্ট সার্টিফিকেটের কপি জমা দিতে হবে।